প্রতিবেদনটি পড়লে আপনার বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন হয়, কাদের এই ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে এ সকল বিষয়গুলোই তুলে ধরা হবে। অর্থাৎ এই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়গুলোই তুলে ধরা হচ্ছে এখানে।
বাংলাদেশ সরকার বয়স্ক ভাতা চালু করেছে বহু আগে সময় থেকে। যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট বয়সের পরে যারা হতদরিদ্র, কাজ করতে অক্ষম তাদেরকে নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করা। এর জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হয়। পূর্বে এটি ম্যানুয়াল ভাবে আবেদন করা হতো। কিন্তু এখন অনলাইনে বয়স্ক ভাতা আবেদন করা সম্ভব হয়। বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পুর্ণ পড়ুন।
বয়স্ক ভাতা পাওয়া যোগ্যতা কি কি
- অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- পুরুষদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স ৬৫ এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬২ বছর হতে হবে।
- বার্ষিক আয় বছরে ১০ হাজার টাকার নিচে থাকতে হবে।
- বাছাই কমিটির দ্বারা নির্বাচিত হতে হবে।
- অন্য কোন সরকারি ভাতা পেলে অযোগ্য বলে গণ্য হবে।
- পেনশনভোগী হলে এই ভাতা পাবেন না।
বয়স্ক ভাতা আবেদনের নিয়ম
এখন আপনাদেরকে জানানো হবে কিভাবে অনলাইনে বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করবেন। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিস্তারিত তথ্য দিয়ে উপস্থাপন করা হচ্ছে এখন। অনলাইনে আবেদন করার জন্য প্রার্থীদের প্রথমে এই https://mis.bhata.gov.bd/onlineApplication ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর প্রার্থীদের নির্বাচন করতে হবে বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম। যেহেতু আমরা বয়স্ক ভাতার জন্য আবেদন করব সেহেতু এই বিষয়টি নির্বাচন করতে হবে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সাবমিট
উপরের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বয়স্ক ভাতা কার্যক্রম নির্বাচন করার পর পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। পরবর্তী ধাপে দিতে হবে যার ভাতার জন্য আবেদন করা হচ্ছে তার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এবং জন্ম তারিখ। এ সকল তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
বয়স্ক ভাতা তথ্য
এরপর যে ফর্ম আসবে সেটি হচ্ছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে সকল তথ্যগুলো সঠিক এবং সাবধানতার সাথে পূরণ করতে হবে। যেমন এখানে দিতে হবে বৈবাহিক অবস্থা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, সদস্য সংখ্যা, পেশা, বার্ষিক আয়, সরকারি বেসরকারি সুবিধা প্রাপ্তির বিবরণ, বাসস্থান, ভূমির মালিকানা এবং অন্যান্য তথ্যগুলো।
এখানে একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে সেটি হচ্ছে বার্ষিক ১২০০০ টাকার বেশি হওয়া যাবে না। এমনটাই রয়েছে বয়স্ক ভাতা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে। এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
যোগাযোগ তথ্য
বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়মের মধ্যে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে এই যোগাযোগ ঠিকানা। যেমন বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, পোস্ট কোড এমনকি গ্রামের ঠিকানাও দিতে হবে। একই সঙ্গে স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানা উভয় ইনপুট করা লাগবে। খেয়াল করা লাগবে এ সকল তথ্য যেন ভুল না হয়।
মোবাইল ব্যাংকিং তথ্য
এখন এই ধরনের টাকাগুলো মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দিয়ে থাকেন। এতটা নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নিতে চাচ্ছেন। এরপর দিতে হবে মোবাইলের মালিকানা। এরপর দিতে হবে মোবাইল নম্বর। অবশ্যই যে মোবাইল নম্বর দিবেন ওই মোবাইল নম্বরে উত্তম মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট থাকতে হবে।
অন্যান্য তথ্য
এরপর দিতে হবে অন্যান্য তথ্য। যেমন আপনার ঘর, টয়লেট, যে জমি এবং অন্যান্য তথ্যগুলো দিতে হবে। যা দিয়ে তারা আপনার সম্পর্কে একটি ধারণা পেয়ে যান। এছাড়াও সম্পদের একটি ধারণা দিতে হবে তাদেরকে। সকল তথ্য দিয়ে পূরণ করার পর সাবমিট করতে হবে।
আরোও পড়ুন: নাগরিক সনদ কি!
সকল তথ্য দিয়ে সাবমিট করার পর একটি প্রিভিউ দেখা যাবে এবং পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে হবে। এটি সংরক্ষণ করতে হবে এবং পরবর্তী সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে আপনি এই ভাতা পাচ্ছেন কিনা।
আপনারা এখানে দেখলেন বয়স্ক ভাতা আবেদন করার নিয়ম। এরকম আরো বিভিন্ন ভাতা সংক্রান্ত তথ্যগুলো জানতে চাইলে অবশ্যই আমাদের সঙ্গে থাকুন। আর দেখে নিন নানা ধরনের জরুরি বিষয়গুলো।