ঘরে বসেই পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনার জন্য এ প্রতিবেদনটি আজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে Passport Application সংক্রান্ত সকল বিষয়গুলোই উপস্থাপন করা হবে।
এ পাসপোর্ট বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের পরিচয় ফুটিয়ে তুলতে সহ নানা ধরনের গুরুত্বপূর্ণ কাজে। আবার পাসপোর্ট কয়েক প্রকারের হয়ে থাকে প্রয়োজন অনুসারে। আর আবেদনের পূর্বে অবশ্যই পাসপোর্ট এর ধরন গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। আর কোন কাজে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সে অনুসারে এর প্রকার জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মূল্যবান এই ডকুমেন্ট কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় এবং কিভাবে খুব দ্রুত পাবেন তা নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন। আরো এখান থেকে জানতে পারবেন তার নিচে তুলে ধরা হলো:
- পাসপোর্ট আবেদন করতে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ।
- পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণের নিয়ম।
- পাসপোর্টের অন্যান্য তথ্য।
অর্থাৎ আপনারা এখান থেকে জানতে পারবেন এই সংক্রান্ত খুঁটিনাটি সকল বিষয়গুলো। যা একজন আবেদনকারীর জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাহলে আবেদনের পূর্বে এ বিষয়গুলো নিচে থেকে দেখে নিন।
পাসপোর্ট এর জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ
এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির নাগরিকত্ব এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র পেয়ে থাকেন। তাই এই মূল্যবান ডকুমেন্ট দেওয়ার পূর্বে বেশ কিছু ডকুমেন্ট দিয়ে থাকে যাচাই-বাছাই করা হয়। আবেদনের সময় এ সকল ডকুমেন্টের তথ্যগুলো দেওয়ার দরকার হয়। নিচে এর তালিকা দেওয়া হল কোন কোন ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
- অনলাইন আবেদন ফরম।
- পাসপোর্ট ফি পরিশোদের রিসিট পেপার।
- পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
- ঠিকানা প্রমাণপত্র হিসাবে ( বিদ্যুৎ বিল, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদপত্র, সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদ)
- জাতীয় পরিচয় পত্র।
- পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
মূলত এই সকল ডকুমেন্ট দিয়েই পাসপোর্টৈর জন্য আবেদন করতে হয়। এর মধ্যে কোনটা যদি আপনার না থাকে তাহলে অবশ্যই পূর্ব থেকে প্রস্তুত করে তারপর আবেদন করবেন। তা না হলে আবেদন সফলভাবে করতে পারবেন না।
পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম
উপরের সকল ডকুমেন্ট গুলো পিডিএফ আকারে কিংবা ছবি আকারে সংরক্ষণ করতে হবে। এরপর আবেদন শুরু করা লাগবে। কিভাবে আবেদন করবেন এবং ফরম পূরণ করবেন তা তথ্য নিচে দেওয়া হল।
ধাপ ১: ভিজিট পাসপোর্ট ওয়েবসাইট।
এখন অনলাইনে নেই ঘরে বসেই অনেকেই আবেদন করতে পারেন পাসপোর্ট এর জন্য। আর যারা আবেদন করতে চাচ্ছেন তারা সরাসরি এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এখানে প্রবেশ করার পর আপনারা দেখতে পারবেন আপনার জেলা নির্বাচন এবং পুলিশ স্টেশনের ঠিকানা নির্বাচনের অপশন। আপনার তথ্য অনুসারে এই তথ্যগুলো নির্বাচন করুন।
ধাপ ২: ইমেইল দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন।
প্রথম ধাপ অতিক্রম করার পর প্রার্থীদের একটি ইমেইল এড্রেস দিতে হবে। একই সঙ্গে একটি ছয় ডিজিটের পাসওয়ার্ড দিতে হবে। পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই শক্তিশালী হওয়া লাগবে। যা সহজে কেউ অনুমান করতে না পারেন। এরপর পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
ধাপ ৩: Apply For a new Passport
উপরে তথ্য সাবমিট করার পর আবার হোমপেজে গিয়ে Apply For a new Passport অপশন দিতে প্রবেশ করতে হবে। এরপর গিয়ে সেখানে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সাবমিট করতে হবে।
এই ধাপে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্যগুলো সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এই তথ্যগুলো অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র এবং অন্যান্য ডকুমেন্ট অনুসারে দিতে হবে। যদি আবেদনকারী তথ্য এবং ডকুমেন্টের সাথে মিল না থাকে তাহলে পাসপোর্ট করতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এখানে যে সকল ব্যক্তিগত তথ্যগুলো দিতে হবে: :
- আবেদনকারীর নাম।
- মোবাইল নম্বর।
- জেন্ডার।
- আপনার পেশা।
- নাগরিকত্ব পাওয়ার কারণ।
- যোগাযোগের ঠিকানা।
উক্ত তথ্য দিয়ে সাবমিট করার পর আপনাকে পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর সাবমিট করতে হবে। আর পাসপোর্ট আবেদন করার নিয়ম এর মধ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ধাপ ৪: পাসপোর্ট আবেদনে অন্য তথ্য।
এখন প্রার্থীর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সাবমিট করতে হবে যা ফর্ম অনুসারে আপনাকে দেওয়া লাগবে। এছাড়াও আপনি অভিভাবক হিসেবে যাকে নির্বাচন করেছেন তার জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য এবং পেশাসহ যোগাযোগের ঠিকানা দিতে হবে। সকল তথ্যগুলো ডকুমেন্ট অনুসারে দিয়ে এরপর পরবর্তী ধাপে যান।
ধাপ ৫: পাসপোর্ট মেয়াদ নির্বাচন।
এ ধাপে নির্বাচন করতে হবে আপনি কত সময়ের জন্য এবং কত পেজের পাসপোর্ট দিতে চাচ্ছেন। সে অনুসারে তথ্য নির্বাচন করুন। একই সঙ্গে এখানে তার মূল্য দেখাবে। এখন পরবর্তী ধাপের প্রবেশ করুন। একই সঙ্গে আপনি ইমারজেন্সি পাসপোর্ট নিতে চাচ্ছেন কিনা সে বিষয়টিও নির্বাচন করে দিতে হবে।
ধাপ ৬: পেমেন্ট
এরপর পরবর্তী ধাপে ব্যক্তিগত তথ্যসহ অন্যান্য বিষয়গুলো দেখতে পারবেন। এখন নিচের সকল অনুমতি পরে তারপর সেখানে মার্ক করতে হবে। একই সঙ্গে পাসপোর্ট পেমেন্ট প্রসেস কমপ্লিট করা লাগবে। এজন্য পেমেন্ট প্রসেসে গিয়ে আমাদের চালান কপির ফাইল আপলোড করতে হবে।
সর্বশেষ
পেমেন্ট প্রমাণপত্রগুলো আপলোড করার পর পরবর্তী ধাপে গেলে আপনার একটি ফাইল ডাউনলোড করতে বলবে। এখন সে ফাইলটি ডাউনলোড করে যে কোন দোকান থেকে প্রিন্ট আউট করে সংরক্ষণ করে রাখুন।
উপরের এই পদ্ধতিতে পাসপোর্ট আবেদন করতে হয়। এই কাজগুলো অনলাইনে করার পর সংরক্ষণ ও অন্যান্য বিষয়গুলো ফিজিক্যাল ভাবে করতে হবে।