ড্রাইভিং লাইসেন্স করার পূর্বে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে! ড্রাইভিং লাইসেন্স কি কি কাগজপত্র লাগবে। প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য যেনে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করে ফেলুন। আমাদের বাংলাদেশে যেকোনো যানবাহন চালকের জন্য রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স যা সরকার কর্তৃক প্রদান করা হয়।
আপনি যদি নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে চান! থাকলে এখন কি কি তথ্যের প্রয়োজন হবে। এরজন্য পুরো আর্টিকলটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি লাগবে।
মোটরসাইকেল বা অন্যন্য যানবাহন চালকদের প্রথম প্রয়োজন সরকারি অনুমোদন বা ড্রাইভিং লাইসেন্স। একজন ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকে সে বিভিন্ন ধরনের আইনি জটিলতায় পড়তে পারে। তাই যানবাহন কিনার পরবর্তী নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স করুন।
বাংলাদেশে driving Licence apply করতে নির্দিষ্ট কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। এরপর বিআরটিএ সেগুলো যাচাই ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সেই ব্যক্তিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে কি ড্রাইভিং লাইসেন্স হবে! অনেকেই রয়েছেন, যাদের নুন্যতম অষ্টম শ্রেণীর পাশ সার্টিফিকেট নেই, তারা কিভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করবেন। এরজন্য লাগবে প্রশংসাপত্র, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, সিটি মেয়র, বা ওয়ার্ড মেম্বল/কাউন্সিলর এর থেকে প্রশংসাপত্র প্রয়োজন হবে। আমাদের বাংলাদেশে অনেক মানুষ নুন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন, তবে এর জন্য প্রশংসাপত্র প্রয়োজন হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যা যা কাগজপত্র লাগে।
বর্তমানে আমাদের দেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে বেশকিছু তথ্য প্রদান করতে হয়। এরপর, আপনাকে কিছু পরীক্ষা বা ট্রেনিং দিতে হবে, তারপর আপনাকে একটি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হবে।
বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যা লাগে।
- BRTA কর্তৃত্ব ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) কপি।
- আবেদনকারীর সদ্য তোলা ১ কপি ছবি।
- বর্তমান ব্যবহারিত বিদ্যুৎ বিলের কপি।
- শারীরিক ফিটনেস মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণী পাস সার্টিফিকেট।
- নির্ধারিত ব্যাংকে বিআরটিএ ফি পরিশোধের কপি।
BRTA কর্তৃত্ব ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফরম: আপনাকে সর্বপ্রথম বিআরটিএ থেকে একটি আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। যেখানে আপনার যাবতীয় তথ্য সঠিক ভাবে প্রদান করতে হবে। পরবর্তী অন্যান্য কাগজপত্রের সঙ্গে আপনাকে এটিও জমা দিতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে এনআইডি কপি: অবশ্যই আপনার একটি এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। সাধারণত লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য আপনাকে এনআইডি কপি প্রয়োজন হয়ে থাকে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এনআইডি সার্ভার কপি ডাউনলোড করে সেটিও জমা দিতে পারেন।
আবেদনকারীর সদ্য তোলা ১কপি ছবি: যে ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করবে, তার ছবি প্রয়োজন হবে। এবং অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি ছবি (১৫০kb) এর মধ্যে হতে হবে।
বর্তমান ব্যবহারিত বিদ্যুৎ বিলের কপি: আপনার ঠিকানা প্রমাণের জন্য বিদ্যুত বিলের কপি প্রয়োজন হবে। যদি আপনার জন্মস্থান এবং বসবাসের স্থান ভিন্ন হয়, তবে, বর্তমান যেখানে রয়েছেন সেই জায়গার বিদ্যুত বিলের কাগজ প্রয়োজন হবে।
শারীরিক ফিটনেস মেডিকেল সার্টিফিকেট: আপনার বর্তমান শারীরিক অবস্থা টেস্ট করার জন্য রেজিস্টার্ড ডাক্তার কর্তৃত্ব মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে। এবং, এখানে আপনাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে সম্পুর্ণ সুস্থ থাকতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের শিক্ষাগত যোগ্যতা: বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের জন্য নুন্যতম অষ্টম শ্রেণী পাস সার্টিফিকেট থাকতে হবে। তবে, আপনার যদি এটি না থাকে তাহলে প্রশংসাপত্র দাখিল করতে পারেন। অবশ্যই, স্থানীয় বিআরটিএ অফিস থেকে যেনে নিবেন।
নির্ধারিত ব্যাংকে বিআরটিএ ফি পরিশোধের কপি: নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি- ৩৪৫ টাকা ও ২ ক্যাটাগরি ৫১৮ টাকা বিআরটিএ’র নির্ধারিত ব্যাংকে ফি জমা দিতে হবে। এবং সেখানে থেকে দেওয়া টাকা রিসিভ এর রশিদ প্রয়োজন হবে।
সাধারণত এই তথ্য গুলো দিয়ে আপনি লার্নার বা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর, যখন আপনি লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তারপর আপনাকে আবারও জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে।
ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদনের অন্যান্য তথ্য।
এছাড়াও, আরো কিছু প্রশ্ন থেকে যায় ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করার জন্য জন্য। আমরা চেষ্টা করবো এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানার জন্য।
১। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স: যদি আপনি পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করতে চান! তাহলে বয়স ২১ ঊর্ধ্বে হতে হবে। এবং, জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। এটি ছাড়া পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স হবে না।
২। ড্রাইভিং লাইসেন্স যোগাযোগ: সাধারণত অনলাইনে দেওয়া তথ্যের মধ্যে আপনার বা পরিবারের যোগাযোগ নাম্বার নিবে না। তবে, যখন আপনি বিআরটিএ কার্যলয়ে যাবেন সেই সময় অবশ্যই, আপনার মোবাইল নাম্বার ও পরিবারের মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
৩। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য রক্তের গ্রুপ: মেডিকেল সার্টফিকেট তো অবশ্যই লাগবে, এরসঙ্গে চেষ্টা করবেন আপনার রক্তের গ্রুপের আলাদা একটি রিপোর্ট নেওয়ার জন্য। সরকারি যেকোনো মেডিকেল থেকে ১০/১৫ মিনিটের মধ্যে এটি পেয়ে যাবেন।
৪। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স: আপনাকে প্রথমে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া হবে না। সকল প্রকার পরীক্ষার পর উত্তীর্ণ হলে আপনাকে স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে।
এছাড়াও আরও তথ্য জানতে স্থানীয় বিআরটিএ অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করুন। পরবর্তী, আমাদের ওয়েবসাইট স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে বিস্তারিত পোস্ট করা হবে। ধন্যবাদ।