যারা কানাডায় পড়াশোনা করতে চান তাদের জন্য রয়েছে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। আর একই সঙ্গে এই প্রতিবেদনে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে Canada Student Visa Processing করতে হয়। অর্থাৎ এই ধরনের ভিসা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি সকল বিষয়গুলোই জানতে পারবেন আপনারা।
আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত টপ রাঙ্কিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের তালিকা যদি দেখেন। তার মধ্যে অধিকাংশই কলেজগুলো পাবেন কানাডার। তাই এই দেশে পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষার্থীরা ভ্রমণ করতে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী থাকেন। শুধুমাত্র পড়াশুনা করার জন্য এমনটা বিষয় নয়। এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস, ভ্রমণ, কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রচুর মানুষ এখানে পাড়ি হওয়ার জন্য আগ্রহী থাকেন। কিন্তু এখানে ভ্রমণ করতে হলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে যেতে হয়। সাধারণ দেশগুলোর তুলনায় এখানে ভ্রমণ করা বেশ জটিল। প্রতিবছর এখানে অবৈধ উপায়ে ভ্রমণ করতে গিয়ে অনেকে মারা যান।
তবে আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা তুলে ধরছি কিভাবে কানাডায় ভ্রমণ করবেন একজন ছাত্র হিসেবে। আর কি কি বিষয়ের প্রয়োজন রয়েছে এখানে ভ্রমণ করার এবং কিভাবে প্রসেসিং করবেন সে সকল তথ্যগুলো। একই সঙ্গে জানতে পারবেন এখানে পড়াশোনা করতে কত টাকা খরচ হয়।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিয়ম
যদি আপনি এই কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পেতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে আবেদন করতে হবে। আবেদন অনলাইনে করতে হয়। আর এই আবেদনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন হয় এবং তথ্য দরকার হয়। এখন এই সকল ডকুমেন্টের সম্পর্কে তালিকা নিচে তুলে ধরা হলো।
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- বৈধ পাসপোর্ট।
- জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য।
- এডুকেশন পারমিট।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদপত্র তথ্য।
- IELTS
- মেডিকেল সার্টিফিকেট।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স।
- অভিভাবকের পরিচয় পত্র।
- এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট।
উপরের এই সকল ডকুমেন্ট থাকলে একজন শিক্ষার্থী কানাডা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ভিসার জন্য আবেদন করার পর সাক্ষাতের জন্য ডাকা হবে। এ সময় চিন্তামুক্ত হয়ে সকল উত্তর সঠিকভাবে দিতে হবে। একটি কথা মাথায় রাখতে হবে ডকুমেন্টের তথ্য এবং আবেদন করার তথ্য যেন মিল থাকে। কোন ধরনের ভুয়া তথ্য দেওয়া যাবে না। যদি সকল ডকুমেন্ট সঠিক থাকে এবং সাক্ষাতের সময় সঠিক উত্তরগুলো দিতে পারেন তাহলে খুব সহজে পেয়ে যাবেন ভিসা। অনলাইনে নিজে আবেদন করতে পারবেন অথবা যেকোনো এজেন্সি কিংবা কম্পিউটার দোকান থেকেও আবেদন করে নিতে পারবেন।
এডুকেশন পারমিট কি?
উপরে যে সকল ডকুমেন্ট এর প্রয়োজন রয়েছে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে এই এডুকেশন পারমিট। মূলত এডুকেশন পারমিট হচ্ছে ঐ দেশে পড়াশোনা করার জন্য অনুমতি পত্র। আর কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য এটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এর বিপরীতেই আবেদন করতে হয় ভিসার জন্য। এ পারমিট নিতে হবে আপনি ঐ দেশের যে বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কলেজে পড়াশোনা করতে চাচ্ছেন সেই প্রতিষ্ঠান থেকে।
এজন্য প্রথমে আপনি যে কলেজে ভর্তি হতে আগ্রহী ঐ কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করুন। সাধারণত অনলাইনেই ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। যদি আপনার আবেদন গ্রহণ করেন এবং ভর্তি হওয়ার জন্য অনুমতি দিয়ে থাকে। তাহলে তারা আপনাকে এই এডুকেশন পারমিট দিবে। আর তার বিপরীতেই আপনারা আবেদন করতে পারবেন।
কানাডায় পড়াশোনা খরচ কেমন
উন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দেশ হচ্ছে কানাডা। এখানে জীবনযাত্রার মান এবং পড়াশোনা উন্নত। এখানে পড়াশোনার খরচ তুলনামূলকভাবে অন্য দেশের থেকে একটু বেশি হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি ফুল ফ্রি স্কলারশিপ কিংবা হাফ ফি স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে চান। সে ক্ষেত্রে পড়াশোনার খরচ কম হয়ে থাকে।
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার পর অনেকেই যে বিষয়টি জানতে চান সেটি হচ্ছে এই খরচের পরিমাণ। মূলত পড়াশোনার খরচ কতটা হবে তা নির্ভর করে প্রতিষ্ঠান এবং প্রোগ্রামের উপর। সাধারণত স্নাতক প্রোগ্রাম পড়াশোনা করার জন্য খরচ হয়ে থাকে ৭০০০ থেকে ২৫০০০ ডলার পর্যন্ত। উচ্চ মাধ্যমিক পড়াশোনার জন্য খরচ হয়ে থাকে ৩০০০ ডলার থেকে ৮০০০ ডলার পর্যন্ত।
কানাডা পেতে কতদিন সময় লাগে
এখানে আবেদন করার দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য সাক্ষাতের জন্য ডাকা হয়। আর সাক্ষাতের কয়েক দিনের মধ্যেই ভিসা পাওয়া সম্ভব হয়। তবে অনেক সময় তার থেকে পাঁচ সপ্তাহ সময় লেগে যেতে পারে।
আরোও পড়ুন: ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম।
এই ধরনের ভিসা আবেদনের খরচ হয়ে থাকে মাত্র ১৫০ ডলার। যা বাংলাদেশের টাকায় ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর অন্যান্য বিষয়গুলোর খরচ আলাদাভাবে রয়েছে।
আপনারা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানলেন। কখনো কোন দালাল কিংবা ভুয়া এজেন্সির সাথে কন্টাক্ট করবেন না। কেননা এতে করে আপনাদের সময় এবং অর্থ উভয় অপচয় হবে। সকল তথ্য সঠিকভাবে দিলে আপনি নিজেই এই ভিসা পেয়ে যাবেন সহজে।